অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক:: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পাঁচটি মামলায় জামিন চেয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) ঢাকার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়ার সহকারী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পৌঁছবেন। এরপর প্রথমে তিনি দ্বিতীয় তলায় যাবেন। ওই আদালতে একটি মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানির পর ওই ভবনের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ আদালতে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় জামিন চাইবেন। এরপর তিনি ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে আরও ৪টি মামলায় জামিন চাইবেন।
জামিন পাওয়া সম্পর্কে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া জানান, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তার বয়স এখন ৭০। তাই সবদিক বিবেচনায় আশা করি আদালত তার জামিন মঞ্জুর করবেন।
উল্লেখ্য, আত্মসমর্পণ করা মামলাগুলোর মধ্যে যাত্রবাড়ী থানার পেট্রোল বোমায় মানুষ পুড়িয়ে হত্যা ও দগ্ধ হওয়ার বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় গত ৩০ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এছাড়া একই ঘটনায় চার্জশিট হওয়া হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের অপর একটি মামলায়ও তিনি জামিন প্রার্থনা করবেন তিনি। ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এই মামলায় মঙ্গলবার চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।
তিন নম্বর মামলা
বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারী ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ৩ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির হতে সমন দেওয়া হয়। কিন্তু ওইদিন তার পক্ষে সময় চাওয়ায় ১০ এপ্রিল তাঁকে আদালতে হাজির হতে সমন প্রদান করে আদালত।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিশন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া ওই মন্তব্য করেন।
চার নম্বর মামলা
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১৩ মে চার্জশিট দাখিল হয়। চার্জশিট দাখিল হওয়ার পর থেকেই উচ্চ আদালতে নির্দেশে মামলার কার্যক্রম স্থগিত হয়।
২০১৫ সালের ৫ আগস্ট হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার দুটি রিট আবেদন খারিজ করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সে অনুয়ায়ী আগামী ১৩ এপ্রিলের মধ্যে ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে মামলাটিতে আত্মসমর্পণের জন্য তার বিরুদ্ধে সমন জারি রয়েছে।
পাঁচ নম্বর মামলা
গুলশানে নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে পেট্রোলবোমা হামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলাটি এখানো তদন্তাধীন রয়েছে।